Over the years, I have tried to capture the conflicts and struggles of our expatriate lives in America through my plays. And one of the greatest struggles we face is to rear our children in this foreign land. In many of my plays, the relationship (and conflicts) between parents with their children has come up in various forms – sometimes intentionally and sometimes unintentionally. In “Ron” it was the conflict of ideals and loyalty between the two generations. In “Satyameva” the longing for parenthood of a lonely father was the key issue. In “Taconic Parkway” the struggle to cope with the loss of a teenage daughter created the drama. In “Cassandra…” the empty nesters hope and wish to get back to their child drove the play. However, the issue of parenting in its most primitive sense was never explored before until “Palok”. The challenges of rearing a child during the early formative years is the most trying period for any parent. It tests their patience, their resolve and their sense of responsibility to the maximum, especially in a country where you don’t have the support system of your immediate family. And during those difficult moments, they sometimes lose control of their senses and do things to their children which borders on “criminal” behavior. Continue reading
Monthly Archives: March 2014
A Conversation With Chandan Sen
Recently, at the EBC Radio Drama Club show, I had the opportunity to chat with the noted theatre personality of Kolkata, Chandan Sen. Chandan Sen is quite well known to the theatre loving Bengali crowd of North America. He has not only directed and performed in plays in USA, but he has also been involved as a technical consultant to several North America Bengali Conferences. In this conversation Chandan talks about how he got into theatre, his views about the current status of theatre in West Bengal and many other things. I hope you enjoy the discussion.
Podcast: Play in new window | Download | Embed
“যদিদং”
“যদিদং”
নাটক, নির্দেশনা: সোহন বন্দোপাধ্যায়
প্রযোজনা: নট-রঙ্গ
ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম স্টার থিয়েটারে জি-বাংলা নাট্য উত্সবের আয়োজন করেছে। । বাছা বাছা কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হবে সেই উত্সবে। অনুষ্ঠানসূচীতে দেখলাম সোহন বন্দোপাধ্যায়ের “যদিদং” নাটকটিও রয়েছে। “যদিদং” নাটকটি সম্পর্কে অনেক শুনেছি, পড়েছি। তাই অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল নাটকটি দেখার। সুতরাং সুযোগ ছাড়লাম না, বারাসাত থেকে গাড়ি নিয়ে যথা সময়ে পৌঁছে গেলাম ঐতিহাসিক স্টার থিয়েটারে। ভয় ছিল টিকিট পাবো কিনা, কারণ শুনেছিলাম নাটকটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু হলে গিয়ে দেখি সাকুল্যে জনা পঞ্চাশেক দর্শক, তার মধ্যে বেশ কিছু নিমন্ত্রিত। মাত্র চল্লিশ টাকা প্রবেশমূল্য, তাও দর্শক নেই। পরে শুনলাম এই উত্সবের যথেষ্ট প্রচার হয়নি, তাই কলকাতার বেশির ভাগ থিয়েটার প্রেমী দর্শক জানেনই না, এত সুলভে নাটক দেখার সুযোগ করে দিয়েছে জি-বাংলা।
“যদিদং” -কে হয়ত একটি আধুনিক প্রহসন বলা যেতে পারে, সুরিয়ালিস্ট কমেডিও বলা যেতে পারে। বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে যে সময়ে আমরা ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করে চলেছি, আঘাতের পর আঘাত করে তাকে ধুলিস্যাত করে ফেলতে চাইছি, ঠিক সেই সময়ে দাড়িয়েই সোহনের এই নাটক আমাদের শেখায় যে, বিবাহিত জীবন কেবল মাত্র এক আইনি বন্ধন নয়, সামাজিক রীতি নয়, আরও বেশি কিছু। এমন কিছু, যা ইচ্ছে করলেই ছিড়ে ফেলা যায় না, কোর্টের ডিক্রি অনুসারে ভাগ করা যায় না, কেটে ভাগাভাগি করা যায় না। সেই কিছু-র নাম হয়ত ভালবাসা, হয়ত সমঝোতা, হয়ত সহনশীলতা, কিম্বা হয়ত স্রেফ “মনুর মা”!
আমার এক প্রিয়জন একটা কথা বলতেন, “বিয়ের আগে যে মনোরমা, বিয়ের কিছুদিন বাদেই সে হয়ে যায় মনোর মা!” কিন্তু সেই “মনোর মা” বা “মনুর মা”-রাই যে সংসার টিকিয়ে রাখার প্রধান উপাদান, সেটা আমরা অনেক সময়েই ভুলে যাই। যদিদং নাটকের দুই চরিত্র, এক তরুণ দম্পতি (সোহন বন্দোপাধ্যায় ও মৌসুমী সেনগুপ্ত), সেই কথাটাই ভুলে গিয়েছিল। সাত বছর বিবাহিত জীবন কাটাবার পর তারা স্থির করে আর এই ভাবে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের সমস্থ স্থাবর সম্পত্তি তারা সমান দুই ভাগে ভাগ করে নেয়। চেয়ার টেবিল, আসবাব, ফ্রিজ – সমস্ত কিছুই করাত দিয়ে কেটে দু টুকরো করে ভাগ করে নেয়। ঘরের মধ্যে রেখা টেনে দুজনের জায়গা সমান করে আলাদা করে নেয়। কিন্তু তার পরেও তাদের মনে হয়, কিছু একটা রয়ে যাচ্ছে যা তারা কিছুতেই ভাগ করতে পারছে না। তাই তারা ধরে বেঁধে নিয়ে আসে এক নকল উকিল পঞ্চানন সাঁতরা-কে (দেবসঙ্কর হালদার), যিনি আবার পার্ট টাইম তান্ত্রিক-এর প্রক্সিও দিয়ে থাকেন। কিন্তু পঞ্চানন-বাবুর কাছে এর কোনো আইনি সমাধান বা তান্ত্রিক জড়ি-বুটি নেই। তার কেবল রয়েছে মনুর-মা, যে তার জন্য বিউলি ডাল আর ধনে পাতার বড়া রেঁধে অপেক্ষা করে থাকে। আর শেষ মেষ এই মনুর-মাই পারেন এই যুযুধান দম্পতিকে ফের মিলিয়ে দিতে, যদিও সেই কাজের জন্য তাকে এক বারও মঞ্চে আসতে হয় না।
আজকের আধুনিকা শিক্ষিতা নারী এই নাটক দেখে হয়ত প্রতিবাদ করতে পারেন, ঘরে বসে স্বামীর জন্য বিউলি ডাল আর ধনে পাতার বড়া রাঁধতে রাজি নাও হতে পারেন। কিন্তু এখানেই হবে ভুল, কারণ “মনুর মা” তো কোন রক্ত মাংসের মানুষ নয়, “মনুর মা” একটি abstract concept ! একটা ভাবনা, যা স্বামী স্ত্রী দুজনের মনেই বাস করে, যাকে ভাগ করা যায় না। যদিদং দেখে আমি অন্ততঃ এই টুকুই বুঝেছি। এবং আমার বোঝাটা যদি ঠিক হয়ে থাকে, তাহলে বলব নাট্যকার নির্দেশক সোহন বন্দোপাধ্যায় সেই কাজে সম্পূর্ণ সার্থক। আর এই কঠিন বিষয় বস্তুকে তিনি পেশ করেছেন অসাধারণ হিউমার-এর মোড়কে।
অভিনয়ে দেবশঙ্কর আবার প্রমান করলেন, তিনি একাই একশ। প্রায় গোটা নাটক টাকে তিনিই বয়ে নিয়ে গেলেন। অবশ্য নাট্যকার তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। তুলনায় অন্য চরিত্র দুজনের প্রতি হয়ত একটু অবহেলাই করেছেন। তাদের দাম্পত্য সংকটটা খুব একটা জোরালো হয়ে প্রস্ফুটিত হলো না। কেবলই অহং বোধ, ইগো, অথবা আপোষহীনতাই কি কোনো দম্পতিকে বিচ্ছেদের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারে? আর কোন কারণ, কোনো অপ্রতিরোধ্য চাপ কি থাকতে পারে না? তাদের একটা গল্পও তো থাকতে পারে?
স্বল্প চরিত্রের নাটক কখনো কখনো নির্দেশককে একটু সমস্যায় ফেলে। স্টেজ কম্পোজিশনে বৈচিত্র আনা অনেক সময় কঠিন হয়ে পরে। যদিদং নাটকে চরিত্র সংখ্যা মাত্র তিন, এবং তারা সব সময় মঞ্চে থাকেন। সমস্যা আরো গভীর হয় যখন গল্পের খাতিরে তারা মঞ্চে কেবল সীমিত অঞ্চলের মধ্যে থাকতে বাধ্য হন। ফলে দীর্ঘ ১০০ মিনিটের নাটকে, মঞ্চের ছবিটা প্রায় একই থেকে যায়, যা দৃশ্যত একটু ক্লান্তিকর ঠেকে বৈকি। সংলাপ, অভিনয়, সঙ্গীত, এ সবই ব্যবহার করা হয়েছে এই বাধা কে অতিক্রম করতে, কিন্তু এতো আর শ্রুতি নাটক নয়। দর্শক তো নাটক “দেখতেই” এসেছেন। মঞ্চ নিয়ে আর একটু ভাবনা চিন্তা করার সুযোগ ছিল। যেমন, কাটা ফ্রিজ, আসবাব, ইত্যাদির ছোট ছোট ছবির মালা না করে, যদি প্রমান সাইজের কাট আউট ব্যবহার করা হত, খুব একটা মন্দ হত না। অভিনেতারা সেগুলি ব্যবহার করে মঞ্চে কিছুটা বৈচিত্র আনতে পারতেন। আর একটা কথা – আধ খানা চেয়ার কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, ঠিক যেমন ভেঙ্গে যাওয়া সংসারে একা স্বামী বা স্ত্রী জীবনের ভার বহন করতে পারে না।
নট-রঙ্গ ও সোহন কে ধন্যবাদ একটি ভালো প্রযোজনা উপহার দেবার জন্য। পরবর্তী প্রযোজনা “মন মানুষের” জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করে রইলাম।
Parenting : Do We Take it for Granted?
Recently, the ECTA Theatre team gathered together at the EBC Radio studios to talk about their upcoming theatre production “Palok” or “The Protector” (to be staged at the Edison Valley Playhouse, in Edison NJ on April 5 and 6). Using the play as a spring board, the discussion soon veered off to the different issues and challenges of parenting in the United States, especially if the parents are of Indian or Asian origin. Any modern society imposes some strict rules on parenting, primarily to prevent child abuse. However, the thin line between disciplining a child and abusing, is quite blurry especially to an Asian eye. We Asian parents are accused of being too pushy, to harsh and strict on our children. Sometimes our lack of patience in letting a child correct himself, results in outright abuse in the eyes of Western Law. At times, we go to the other extreme and neglect our child, by not taking care of their well being, leaving them home alone for long hours etc. etc. We are often not aware of the child protective laws in this country and treat our children the way we were treated back home during our childhood. The play “Palok” (which means the rearer or the protector) deals with these topics and the team, joined by some enthusiastic callers, got into a heated discussion that I am sure you will enjoy. And after you listen to this discussion (click the player below), you may even be interested in coming to watch the show.
Podcast: Play in new window | Download | Embed
ব্রাত্য বসুর নাটক : সিনেমার মতো
“সিনেমার মতো”
নাটক, নির্দেশনা: ব্রাত্য বসু
প্রযোজনা: কালিন্দী ব্রাত্যজন
দুপুরে ব্রিগেডে তৃণমূলের জনসভা। বিকেলে মধুসূদন মঞ্চে “সিনেমার মতো”! এই ভাবেই আজকের দিনের অন্যতম নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু তার রাজনৈতিক-প্রশাসনিক দায়িত্বর সঙ্গে সঙ্গে নাট্য চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি অবশ্য ব্রিগেডের পথ মাড়াই নি, মধুসূদন মঞ্চেই পৌছে গিয়েছিলাম সময়মত। ঢাকুরিয়া ক্রিকেট ক্লাবের আমন্ত্রিত শো ছিল সেদিন। প্রাথমিক কিছু বক্তৃতা, পুষ্প স্তবক, সম্মাননা জ্ঞাপন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পর শুরু হল নাটক।
অল্প কোথায় বলতে গেলে, “সিনেমার মতো” একটি ঝকঝকে স্মার্ট প্রযোজনা। বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থান পতনের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিবার ও তার সদস্যদের ভাঙা গড়ার কাহিনী এই নাটক। নাটকের মাধ্যমে বাংলা সিনেমাকে ধরা, এবং তারই মধ্যে মানবিক সম্পর্কের টানা পোড়েনের এই মেলবন্ধন, এটা একটা নতুন ব্যাপার বটেই। আর নাট্যকার ব্রাত্য অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে বুনেছেন এই দুই কাহিনী। বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের এক নায়িকা (অনুসূয়া), যার গুণমুগ্ধ বর্তমান স্বামী (পীযুষ) তার স্ত্রীর জীবন নিয়ে এক ডকুমেন্টারি তৈরিতে ব্যস্ত, ছোট ছেলে স্বপ্ন দেখে নতুন যুগের সিনেমা তৈরী করার, আর মদ্যপ জ্যেষ্ঠ পুত্র তার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি আর এক মিথ্যেকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যায়। নাটক দেখতে দেখতে অনিবার্য ভাবে মনে পড়ে যায় আর্থার মিলারের “ডেথ অফ এ সেল্স ম্যান” এর কথা – দুই ভাই, এবং তাদের পিতা – কৌলিন্যের অহংকার, আশা-প্রত্যাশা, স্বপ্ন – দুঃস্বপ্ন, অনাচার-ব্যভিচার, বিশ্বাস-বিশ্বাসহীনতা, সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প। কিন্তু এ নাটক “ডেথ অফ এ সেল্স ম্যান” নয়, কারণ এখানে পিতা পুত্রের ব্যর্থতায় নিজেকে শেষ করেন না। এই নাটকে পুত্র পিতার ব্যর্থতার গ্লানি সহ্য করতে পারে না। তাই উইলি লোম্যানের মতই নিজেকে শেষ করে ফেলতে বাধ্য হয়। প্রধানত চরিত্রগুলির স্মৃতিচারণার মাধমেই নাট্যকার গল্প বলেন, সুতরাং এই নাটককে এক হিসেবে “মেমরি প্লে” হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। কিন্তু এই স্মৃতি চারণা যখন বাংলা সিনেমার ইতিহাস বিবৃত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তা ক্লান্তিকর ঠেকে বৈকি। থিয়েটার দেখতে এসে দর্শক সিনেমার ইতিহাসের ক্লাসে ছাত্র হয়ে বসে থাকতে রাজি নাও হতে পারেন। এই বক্তৃতা গুলি যদি একটু সংক্ষিপ্ত করা যেত, তাহলে নাটকের সময় কিছুটা কমত, আরো আঁটসাঁট হত প্রযোজনা।
অভিনয় সকলেরই বেশ ভালো। অনুসূয়া, পীযুষ দক্ষ্য অভিনেতা এবং এই নাটকেও তার প্রমান রেখেছেন তারা। পৌলমী তার চরিত্রে যথাযত, বিশেষ কিছু তার করারও ছিল না। মুখ্য চরিত্রে ব্রাত্য বসুর অভিনয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এক ফাঁকে একটু মশকরাও করেছেন ব্রাত্য। মুম্বাই ফেরত বড় ভাই যখন ছোট ভাইকে বলে, “এই ভাই, তুই কি আজকাল তৃনমূল করছিস নাকি ভাই?” তখন দর্শক না হেসে পারেন না।
দৃশ্যান্তরে জনপ্রিয় বাংলা সিনেমার গানের দৃশ্যের প্রক্ষেপণ একটু ভিন্ন স্বাদ উপহার দেয় ঠিকই , কিন্তু তা মূল নাটককে কোনো ভাবে ঋদ্ধ করে বলে আমার মনে হয় না। মঞ্চ পরিকল্পনায় যথেষ্ঠ মুন্সিয়ানার পরিচয় রয়েছে। কিন্তু মধুসূদন মঞ্চের বৃহত পরিসরে, তা একটু ছোট বলেই মনে হয়েছে। প্রচুর স্পেস আসে পাশে নষ্ট হয়েছে, যা ছোট মঞ্চে হয়ত মনে হবে না।
পরিশেষে বলব, ব্রাত্য যে তার রাজনৈতিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও থিয়েটার করে চলেছেন, তার জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।